
বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুইছড়ি ইজ্জতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার মেরিন চীফ ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
বুধবার ২ জুলাই ২০২৫ মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো. আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত চিঠির আলোকে মেরিন চীফ ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউর রহমান চৌধুরীকে সভাপতি, মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস ও এনামুল হককে সদস্য এবং প্রধান শিক্ষককে সদস্য সচিব করে এডহক কমিটি অনুমোদন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে এডহক কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- ‘নতুন দায়িত্ব নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জের। বিদ্যালয়ের সার্বিক মানোন্নয়নে আমি আমার সর্বোচ্চ ত্যাগ ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। এ লক্ষ্যে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশী।’
ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউর রহমান চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব পুইছড়ি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মিয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মরহুম এজহার মিয়া ও রত্নগর্ভা মা সম্মাননায় ভূষিত ফজিলাতুন নেছার সুযোগ্য সন্তান। তিনি পুইছড়ি ইজ্জতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্টার মার্কসহ এসএসসিতে প্রথম বিভাগ অর্জন করেন৷ চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্নের পর বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম থেকে স্টার মার্কসহ মেরিটাইম সায়েন্সের উপর ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত ডিগ্রি হিসেবে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে চিফ ইঞ্জিনিয়ার সনদ লাভ করেন এবং বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
৪ ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বড় ভাই ডা. মোস্তাফিজুর রহমান একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক, মেজ ভাই এডভোকেট মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও ছোট ভাই এইচএম আরশাদুর রহমান মধুমতি ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। ৫ বোনের মধ্যে সকলেই স্বস্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউর রহমান চৌধুরীর সহধর্মিণী এডভোকেট মেহেনাজ সোলায়মান চট্টগ্রাম জজকোর্টে আইনপেশায় নিয়োজিত আছেন।
ইঞ্জিনিয়ার জিয়া ২০০৪ সালে পাস আউট হয়ে সর্বপ্রথম ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে নাবিক জীবন শুরু করেন। ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে তিনি ফ্লিট শিপ ম্যানেজমেন্টের অধীনে নরওয়েজিয়ান টেকের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কমান্ড লাভ করেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়া সহ প্রায় ৬০টি দেশে সমুদ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। এরপর তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার- ডিজিএম হিসেবে যোগদান করেন। ২০২১ সালে জেনারেল ম্যানেজার (চ.দা:) ও বর্তমানে তিনি জেনারেল ম্যানেজার (শীপ পার্সোনেল ডিপার্টমেন্ট) হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।